গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি সমস্যা কি? গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি সমস্যার কারণ, লক্ষণ, পরামর্শ ও চিকিৎসা।
গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটিঃ
গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি এই নামটি আমাদের দেশে খুবই পরিচিত। সাধারণত আমাদের দেশে এই রোগের পরিমাণ খুব বেশি। সাধারণত কিছু বদভ্যাসের কারণে হয়ে থাকে। কিছু নিয়ম কানুন মান্য করলেই সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। গ্যাস্ট্রিক এর আরেক নাম অ্যাসিডিটি। মানুষের পাকস্থলীতে প্রতিনিয়ত হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCL) নিঃসরণ হচ্ছে। গ্যাস্ট্রিক বলতে পাকস্থলি বা অন্ত্রের ক্ষত বা ঘা-কেই বোঝানো হয় যা সাধারণত পাকস্থলি হতে অ্যাসিড নিঃসরণ এর মাত্রা বেরে যাওয়ার কারণে হয়। আর এই অ্যাসিড নিঃসরণ এর মাত্রা বেরে যাওয়াকে গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি বলে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হওয়ার পিছনে দায়ী হলো হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCL)। এটা আমাদের খাদ্য হজমে সাহায্য করে ঠিক, তবে এটা খুব মারাত্মক অ্যাসিড। এর সরাসরি অংশগ্রহন আমাদের পাকস্থলীর ক্ষতি করে ফেলতে পারে, তাই একে নিস্ক্রিয় করে রাখার মেকানিজম আমাদের শরীরের মধ্যেই রয়েছে, কোন কারণে যদি সেই মেকানিজম-এ কোনো সমস্যা দেখা দেয় তখনই পাকস্থলীর মধ্যে ঘা-এর সৃষ্ঠি করে, আর আমরা তাকে বলে থাকি গ্যাস্ট্রিক বা পেপটিক আলসার।
গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি সমস্যার কারনঃ
১। যথাসময়ে নিয়মিত খাবার গ্রহণ না করা।
২। অধিক পরিমানে ঝাল খাওয়া।
৩। পচা-বাসি খাবার খাওয়া।
৪। অধিক তৈলাক্ত খাবার গ্রহণ করা।
৫। অতিরিক্ত চা, কফি ও ধূমপান করা।
৬। অনিয়মিত খাদ্যাভাস।
৭। অতিরিক্ত রাত্রি জাগরণ।
৮। বেশি পরিমাণে বাইরের খাবার, ফাস্ট ফুড, বোতলজাত খাবার ও কোমল পানীয় গ্রহণ করা।
৯। অতিরিক্ত ভাজা-পোড়া ও মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া।
গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি সমস্যার লক্ষনঃ
১। বুক জ্বালাপোড়া করা।
২। বমি বমি ভাব।
৩। মুখে দুর্গন্ধ।
৪। টক ঢেঁকুর।
৫। পেটের উপরের অংশে ব্যথা করা বা জ্বালা-পোড়া অনুভূত হওয়া।
৬। পেট ফাঁপা, ক্ষুধামন্দা, অল্প খেলেই ভরপেট অনুভব হওয়া।
৭। হেচকি উঠা।
৮। টক বা জাল জাতীয় তরল গলার মধ্যে দিয়ে মুখে আসা।
গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি সমস্যার পরামর্শ ও চিকিৎসাঃ
১। যথাসময়ে খাবার খেতে হবে।
২। একদম পেট ভর্তি করে খাবেন না।
৩। অধিক পরিমানে ঝাল খাবেন না।
৪। পচা-বাসি খাবার খাওয়া যাবে না।
৫। পরিমাণমত পানি পান করুন।
৬। অধিক তৈলাক্ত খাবার পরিহার করুন।
৭। নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
৮। অতিরিক্ত চা, কফি ও ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।
৯। অতিরিক্ত ভাজা-পোড়া ও মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
১০। খাবারের পর ঠাণ্ডা দুধ ও ফলের রস পান করুন।
১১। খাবার ভালো মত খাবার চিবিয়ে খাবেন।
১২। সুষম ও আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন।
১৩। সঠিক সময়ে ঘুমিয়ে পড়তে হবে, অবশ্যই অতিরিক্ত রাত্রি জাগরণ নয়।
*** গ্যাস্ট্রিক বা গ্যাসের সমস্যাসহ রোগ লক্ষণ বিকাল চারটা হইতে রাত আটটার মধ্যে বৃদ্ধি হলে আমরা Lycopodium 6,30,200 (লাইকোপোডিয়াম ৬,৩০,২০০) শক্তির ঔষধ ব্যবহার করিব।
বিঃ দ্রঃ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা শ্রেয়।
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শে যোগাযোগ করুন আমাদের ফেইসবুক পেইজে ...


No comments